অশ্বিনের অবসরের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ গাভাস্কার
ইঙ্গিত ছিল আগেই। ব্রিসবেন টেস্টের পরই বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার রবিচন্দন অশ্বিন। এরপরই আসে অবসরের ঘোষণা। ভারতের জার্সিতে আর দেখা যাবে না এই ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। তার আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।
অশ্বিনের অবসরের বিষয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘অশ্বিন এভাবে বলতে পারত যে এই সিরিজের পর আর ভারতের হয়ে খেলবে না। আপনি যদি দেখেন, ধোনি কিন্তু ঠিক এভাবেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে, সেটা সিরিজের শেষে, মাঝপথে নয়। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে এভাবে মাঝপথে অবসর নিলে দলকে বিপদে পড়তে হয়। কেননা একটা সিরিজ চলছে। হুট করে মাঝপথে বিকল্প ক্রিকেটার পাওয়া মুশকিল।
গাভাস্কার আরও যোগ করেন, ‘প্রতিটা দলের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। এভাবে অবসর নিলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায় কঠিন হয়। কেননা নির্বাচকরা তো আগে থেকে বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকেন না। আর সামনে সিডনি টেস্ট। সেখানে দুই স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনা থাকতেও পারে ভারতের। সেক্ষেত্রে অশ্বিনের নামার কথা ছিল।’
১৪ বছরের ক্যারিয়ারে অশ্বিন টেস্ট খেলেছেন ১০৬টি, ওয়ানডে ১১৬ ও টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামেন ৬৫ ম্যাচে। টেস্টে ৫৩৭ উইকেটের সঙ্গে তিন হাজার ৫০৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ওয়ানডেতে ১৫৬ উইকেটের পাশাপাশি করেন ৭০৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৭২ উইকেটের সঙ্গে করেন ১৮৪ রান।
৩৮ বছর বয়সী অশ্বিন ভারতের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৮৭ ম্যাচে ৭৬৫ উইকেট নিয়েছেন। দেশটির ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। ব্যাট হাতেও অবদান একেবারে কম নয়। করেছেন চার হাজার ৩৯৪ রান। টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরিও আছে তার।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম বোলারও অশ্বিন। ক্যারিয়ার শেষ করলেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ ১৯৫ উইকেট নিয়ে। টেস্টেই বেশি আলো ছড়ানো অশ্বিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০১০ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ দিয়ে। ২০১১ সালে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ জয়ী দলের সদস্য তিনি।