সেঞ্চুরির পরও নিজেকেই দায় দিলেন হৃদয়

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারলেও ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। শেষ দিকে পায়ে ক্র্যাম্প না করলে আরও কিছু রান করতে পারতেন দলের জন্য। ম্যাচের চিত্রও তখন ভিন্ন হতে পারত। এমনটাই আক্ষেপ এই ডানহাতি ব্যাটারের।
ভারতের বিপক্ষে নবম ওভারেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৩৫। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বনিম্ন রানের লজ্জার মুখে ছিল শান্তরা। তবে, ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। তারা ১৫৪ রান যোগ করেন।
হৃদয় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ব্যাট থেকে ১১৮ বলে ১০০ রানের ইনিংস আসে। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। জাকের আলী ১১৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। তানজিদ তামিম ২৫ ও রিশাদ হোসেন ১৮ রান যোগ করেন।
শেষদিকে রান করতে না পারার আক্ষেপ জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আমরা ভাবনায় পরিষ্কার ছিলাম যে, টস জিতলে কী করতে চাই। ব্যাটিং করারই পরিকল্পনা ছিল গোটা দলের। দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে গেছে… এজন্য জিনিসটা এরকম হয়েছে। দ্রুত উইকেট যাওয়ার পরও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমি ও জাকের, দুজনের একজন যদি আরও ভালোভাবে ম্যাচটা শেষ করতে পারতাম, তাহলে অন্তত ২৬০-২৭০ রান হতো। তখন খেলার চিত্র ভিন্ন হতো।’
চোট প্রসঙ্গে হৃদয় জানান, ‘(এখন) আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আমার কাছে মনে হয় আমার ক্র্যাম্পিংটাই সমস্যা করেছে। আমি ঠিক থাকলে ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম। (বাইরে থেকে হয়তো ব্যাটিং) সহজ মনে হয়েছে তবে এতটাও সহজ ছিল না, ৫ উইকেট যাওয়ার পরে। সেই সময়ে ধৈর্য ধরেছি, নিজের সাথে কথা বলেছি। কীভাবে এখান থেকে বের হওয়ার যায়।'
দুবাইয়ের উইকেট প্রসঙ্গে হৃদয়ের ভাষ্য, 'উইকেট কঠিন ছিল শুরুর দিকে। তারাও সহজে ব্যাট করতে পারেনি। উইকেট নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। যেমন উইকেট থাকবে সেটায়ই খেলতে হবে। ডিমান্ড অনুযায়ী খেলতে হবে। সব জায়গার কন্ডিশন এক না। যখন যা সামনে আসবে সে অনুযায়ী খেলতে হবে।'