দিল্লির অভিজাত এলাকায় দৈনিক দুই নারী লাঞ্ছিত
বসন্ত বিহার ও মালভিয়া নগরের মতো দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকাগুলোতে প্রতিদিন অন্তত দুজন নারী যৌন হেনস্তার শিকার হন। দেশটির পুলিশ বিভাগের সাম্প্রতিক উপাত্ত থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১২ সালে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার পর ভারতজুড়ে তীব্র আন্দোলন হয়। এর পর থেকে নারী নির্যাতন ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা কমাতে কঠোর আইন করে ভারত। কিন্তু দেশটিতে এ-সংক্রান্ত অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
পুলিশের অপরাধ-সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে হিন্দুস্তান টাইমসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দিল্লিতে মালভিয়া নগর থানা এলাকা নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত সেখানে ১৬ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর অর্থ, প্রতি মাসে প্রায় চারজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পক্ষান্তরে, বসন্ত বিহার এলাকায় একই সময়ে ১৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বসন্ত কুঞ্জ উত্তর এবং মেহরাউলি এলাকায় ১৪টি করে ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড হয়।
দক্ষিণ দিল্লিতে লাঞ্ছনার ঘটনা ব্যাপক। এ অঞ্চলের বসন্ত বিহার এলাকায় ৬৬টি লাঞ্ছনার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর পরই আছে মেহরাউলির অবস্থান। ওই থানায় এ ধরনের মামলা হয়েছে ৪৩টি। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দাবরি ও বিনোদপুরে ৪৩টি ও ৩৭টি লাঞ্ছনার মামলা হয়েছে। এদিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে শাকারপুর।
এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘মামলার এই সংখ্যা বা মামলা করার প্রবণতা দিয়ে এটাই বোঝা যায় যে, ওই সব এলাকার নারীরা এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে থানায় জানাচ্ছেন। এটা তাদের আত্মবিশ্বাসেরও প্রতিফলন।’