কেনিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০
কেনিয়ার অনেক অংশে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা প্রায় বেড়ে ১২০ জনে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা রেমন্ড ওমোলো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যায় দেশটির ৮৯ হাজারের বেশি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে ১১২টি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
কেনিয়ার হর্ন অব আফ্রিকার (জিবুতি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান) প্রতিবেশী সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া এল নিনোর (একটি জলবায়ু প্যাটার্ন যা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতাকে বোঝায়) প্রবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা হয়। এই অঞ্চলে গত ৪০ বছরের সবচেয়ে খারাপ খরা চলছিল। খরায় দেশটির লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বন্যায় মানুষের বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
রেমন্ড ওমোলো বলেছেন, ‘পূর্ব কেনিয়ার চারটি কাউন্টি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও ১০টি এলাকা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।’
এর আগে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সোমবার দুর্যোগের ওপর জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। ওই সভায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিলিয়ন বিলিয়ন কেনিয়ান শিলিং (মিলিয়ন ডলার) অর্থ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠকের পর তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছিল, ৭৬ জন কেনিয়ান মারা গেছে এবং ৩৫ হাজারের বেশি পরিবার তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হর্ন অফ আফ্রিকা এবং এখানে বারবার আবহাওয়ার চরম বিপর্যয় হয়।