যুক্তরাজ্যে সংবাদে টিভি চ্যানেলগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
যুক্তরাজ্যে সংবাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্স হিসাবে টিভি চ্যানেলগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো। দেশটির ১০ জনের মধ্যে সাতজনেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক (৭১ শতাংশ) অনলাইন সংবাদ পড়েন, দেখেন বা শোনেন। খবর গার্ডিয়ানের।
অফকম সমীক্ষার ফলাফল বলছে, প্রথমবারের মতো ওয়েবসাইট ও অ্যাপস টিভিকে ছাড়িয়েছে। এটি ‘গণমাধ্যমের ভারসাম্যের প্রজন্মগত পরিবর্তন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্যের পাশাপাশি বলছে, বিবিসির ‘কোয়েশচেন টাইম’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ফিওনা ব্রুস বলেছেন, সংবাদের উৎস হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই বৃদ্ধি ‘উদ্বেগজনক’।
অফকম অফকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে এই পরিবর্তনের অন্যতম মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেকেরও বেশি (৫২ শতাংশ) সংবাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। দেশটিতে খবরের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। ১০জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে তিনজন এটি ব্যবহার করে। এরপর আছে ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রাম ও এক্স হ্যান্ডেল। বিবিসি নিউজ ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ১৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহৃত করেন।
বলা হচ্ছে, ঐতিহ্যগত সংবাদ উত্সগুলো এখনও বিশ্বাস, নির্ভুলতা এবং নিরপেক্ষতার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলীতে অনলাইন প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে। বিবিসি ওয়ান ৪৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহৃত করেন। যদিও এটি ২০১৯ সালে ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করত। করপোরেশনের স্ট্রিমিং পরিষেবা, আইপ্লেয়ার, টিভি বিভাগেও বেশ জনপ্রিয়। তবে তা এক চতুর্থাংশের কম। প্রাপ্তবয়স্কদের চ্যানেল৪ সংবাদের শীর্ষ ১০ উৎস থেকে বাদ পড়েছে।
পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া কনটেন্ট, বিশেষ করে সংবাদ, পর্যালোচনা শুরু করছে অফকম। এই পর্যালোচনায় দেখা হবে বিবিসি ওআইচিভি-এর মতো পাবলিক সার্ভিস সংবাদ ব্রডকাস্টাররা দর্শকদের কতটা ভালোভাবে সেবা প্রদান করেছে। তারা অনলাইনেও কতটা ভালো সেবা দিচ্ছে তাও পর্যালোচনা করা হবে। পাবলিক সার্ভিস নিউজ সমর্থনের জন্য কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক বা আইনগত পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা সেটিও বিবেচনা করবে অফকম।
অফকমের কৌশল ও গবেষণার প্রধান ইয়িহ-চুং টেহ বলেছেন, ‘ষাটের দশক থেকে সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রাধান্য বিস্তার করেছে টেলিভিশন এবং এটি এখনো অত্যন্ত উচ্চ বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করছে। কিন্তু আমরা একটি প্রজন্মগত পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি, যেখানে অনলাইন সংবাদ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে, যদিও এটি অনেক সময় কম নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখা হয়।’