গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাহায্যকর্মীসহ নিহত ১০০
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/12/01/gaajaa_haamlaa_thiaamb.jpg)
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে কমপক্ষে ১০০ জনে।
নিহতদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে খাদ্য সাহায্যের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ জন রয়েছেন। এ সময় হামলায় সেভ দ্য চিলড্রেন ও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের চার কর্মীও মারা যান। খবর এএফপির।
গাজা থেকে বার্তা সংস্থা ওয়াফার সাংবাদিক জানান, গাজার তাল আজ-জাতার এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আপৎকালীন আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত একটি বহুতল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি তাদের প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে জানায়, হামলার পর ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি বিভাগের কর্মীদের অভাবে সেখানে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন এলাকায়। ইসরায়েলিরা সেখানে সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের উদ্ধারকাজ চালাতে বাধা দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি-আমেরিকান নাগরিক এডান আলেক্সজান্ডারের পরিবারের পাশে আছে। শনিবার হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা এই নাগরিকের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যদিও তাতে সময় উল্লেখ করা হয়নি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র শন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হামাস যদি পণবন্দিদের মুক্তি দেয় তবে আগামীকালই গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে, গাজাবাসীর কষ্ট খুব তাড়াতাড়ি দূর হতে পারে, যা কয়েক মাস আগেও হতে পারত।’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/12/01/gaajaa_haamlaa_inaar.jpg)
শন সাভেট আরও বলেন, ‘চুক্তিটি এখন টেবিলেই রয়ে গেছে।’ বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে ইতোমধ্যে হামাসের প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় চলতে থাকা গণহত্যায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে মোট ৪৪ হাজার ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী। হামলায় আহত হয়েছে আরও এক লাখ পাঁচ হাজার ১৪২ জন।
এ ছাড়া গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননেও মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লার অবস্থান লক্ষ্য করে আকাশ ও স্থলপথে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় তিন হাজার ৯৬১ জন নিহত ও আহত হয়েছে ১৬ হাজার ৫২০ জন।