রাহুল ঘোষের দুটি কবিতা
দাম্পত্য
অতএব আর কেউ কোথাও নেই, আমরা রয়েছি শুধু
তোমার তীব্র চোখে আগুন ঝলসায় অদ্ভুত নিশানায়
তখন আরও সুগভীর নীল হয়ে এলে রাত
আমরা নিযুক্ত হই আশ্চর্য এক দাম্পত্যে।
ভেবেছো কেউ তার খবর রাখে না পৃথিবীর বুকে?
জাদুবাস্তব যেভাবে তুলে এনেছিল আমাদের গোপন
উন্মুক্ত করেছিল আমাদের সকল স্বপ্নসাধ
তাদের মিনারে জেগে থাকে অনিঃশেষ আলো।
আসলে এই দাম্পত্যের খবর পৃথিবীর জানা
আমাদের প্রতিটি মিলনে তাই গড়ে ওঠে প্রাবল্যের সেতু।
সময় বলবে
বেলা যায়, গাঢ় হয় এইসব মেরুকরণের দিন
স্বভাবতই হঠাৎ অন্ধকার গ্রাস করে অস্তিত্বের করোটি
তুমি তবু সকল বিরুদ্ধতা জয় করে মাঝেমাঝে দেখাও বন্দর
অবাধ আশ্রয়ের চিবুক থেকে চেয়ে আনি সুরম্য উত্তাপ।
অথচ কাহিনীটি এগিয়ে যাচ্ছিল কতই মসৃণ
কত ঢেউ নিয়ে ফিরে এসেছিল বারান্দার তামাটে রং
সেই ঢেউ দিয়ে রোজ তোমাকে ছুঁয়ে দিচ্ছিলাম অন্তহীন
অনিবার্যতা রোধে তাই নতুন করে লেখা হলো প্রতিশোধলিপি।
তবুও তোমার ভরসায় বেঁধে রাখছি জীবনের তার
সময় বলবে, তোমার বন্দরে আমি চিরস্থায়ী ফেলেছি নোঙর।