অননুমোদিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ফের অভিযান
অননুমোদিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলে গত মে মাসে। পরে থেমে যায় সে মেয়াদের অভিযান। এবার আবারও অভিযানে নামতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে পারে এই অভিযান। যারা আবেদন করেছেন, কিন্তু সনদ পাননি, তারা হাসপাতাল বন্ধ না রাখলে আইনগত শাস্তির আওতায় পড়বে। এ ছাড়া অভিযানে দেখা হবে নতুন নিবন্ধিত হাসপাতালের মান। করা হবে তিনটি ক্যাটাগরি। কোন হাসপাতালের মান কেমন তা জনগণকে জানাতে প্রকাশ করা হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আগে আমরা ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়ে অভিযান চালিয়েছিলাম। এবার এই অভিযান হবে ৯৬ ঘণ্টার। অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার থেকে এ সপ্তাহের পুরোটাই অভিযান চলবে। এরপর আমরা অভিযানের সামারি নিয়ে শনিবার বা রোববার বসব।’
আহমেদুল কবির আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন। তিনি আমাদেরকে আগের চেয়ে জোরদার করে অভিযান চালাতে বলেছেন।’
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা আবেদন করেও যারা নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনও ত্রুটিপূর্ণ।’
শুরুতে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলাদা করা হবে জানিয়ে আহমেদুল কবির বলেন, ‘এরপরের অভিযানে যারা নিবন্ধিত হয়েছে, তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখা হবে। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতালের মান কেমন।’
এ ছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে যদি নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
গত মে মাসে সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে চলা সেই অভিযানে এক হাজার ৬৪১টি হাসপাতাল বন্ধ হয়েছে। এই অভিযানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
এ ছাড়া এই তিন মাস সময়ে নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ১ হাজার ৪৮৯টি, নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টি। নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ১ হাজার ৯৪৬টি। লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৮৮৭টি। নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক।