অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছে : ভোক্তার ডিজি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান। যেখানেই অভিযান চালাচ্ছি, সেখানেই অনিয়ম পাচ্ছি। হাত দিলেই অনিয়ম।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনারে’ আজ মঙ্গলবার প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ভোক্তার ডিজি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সদস্য, কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘দেশে ভোক্তারা ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতারিত হচ্ছেন। বেশিরভাগ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তির সময়ই কয়েক মাসের বেতন আগাম নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বই, খাতা, কলম, পোশাক স্কুল থেকে বেশি দামে কিনতে বাধ্য করে সবচেয়ে কম মানের জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছে।’
‘ভোক্তাদের অনেকেই তাঁদের অধিকারের বিষয়টি জানেন না’ উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, ‘ভোক্তারা বাজারে যেসব দ্রব্য কিনছেন, তা সঠিক মানে ও মূল্য পাচ্ছে কি না—এসব বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।’
ডিজি বলেন, ‘পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে কেউই ৩০ শতাংশের বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবে না। ভোক্তা অধিকার আইনে কেউ সঠিক অভিযোগ করতে পারলে জরিমানাকৃত অর্থের ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে নগদ প্রদান করার বিধান রয়েছে।’
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষরণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
সেমিনারে কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী প্রমুখ। সেমিনারে ফুড পার্টনার হিসেবে ছিল প্রাণ গ্রুপের ‘অলটাইম’ ব্রান্ড।