অসৎ উপায়ের বিরিয়ানি থেকে সৎপথের নুনভাত খাওয়া ভালো : প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অন্যায়ভাবে আয় করা থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অসৎ উপায়ে আয়ের অর্থ দিয়ে বিরিয়ানি খাওয়া থেকে সৎপথের আয় থেকে নুনভাত খাওয়া অনেক ভালো।’ আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতেও ১০০ রুপি পেঁয়াজের দাম। শুধু একটি রাজ্যে পেঁয়াজের দাম কম, সেখানে তারা অন্য রাজ্যে যেতে দেয় না। কেন লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে আমি জানি না। যার কারণে আমরা বিমানে করে আনছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেহেতু পেঁয়াজ বেশি দিন রাখা যায় না। এজন্য হয়তো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা দাম বাড়িয়ে দু পয়সা কামানো যাবে বলে চিন্তা করছেন। তাদেরও মনে রাখতে হবে পেঁয়াজ কিন্তু পচেও যায়।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যখন ভালো থাকে, কিছু ক্ষুদ্র মানুষ আছে, যারা এইটা নিয়ে ব্যবসা করে, তারা অপপ্রচার চালায়। এই দরিদ্র ব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে কান দেওয়া যাবে না।’
‘যেহেতু আমরা দীর্ঘ সময় সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি, এজন্যই আমরা এই উন্নয়ন করতে সমর্থ হয়েছি। আমাদের উন্নয়ন শহরমুখী নয়। আমরা তিন হাজার ৫০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিয়েছি। দুই কোটি তিন লাখ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীকে আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি।’
স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানাচুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তাদের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে এই বিল পাস হয়েছে। আমরা সফলভাবে ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে তারা অনেক বড় বড় কথা বলে, অথচ ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে গুম করার জন্য বিএনপি সরকার এত টাকা ব্যয় করেছিল যে একজন সিআইএ অফিসারকে তারা ভাড়া করে ফেলেছিল।’
‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সেই লিয়াকত আলী খান, আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ অনেকেই করেছে। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করে আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সব সময় শোষিত বঞ্চিত হয়েছে। এই অবহেলিত মানুষের জীবন থেকে দারিদ্র্য দূর করে উন্নত জীবন দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ গঠন করেছিলেন।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কুদ্দুস পাটোয়ারীসহ শহীদ নেতাদের স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতেই এই সংগঠনের গোড়াপত্তন। সেই সময় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নামে একটি সংগঠন ছিল। সেই বাহিনীর প্রধান ছিলেন প্রয়াত নেতা জিল্লুর রহমান। তারপর ছিলেন আবদুর রাজ্জাক।’