‘ইশরাক আমার ছাত্র, তাঁর বিজয় দেখতে চাই’
রাজধানীর পশ্চিম হাজারীবাগের ঝাউচর বাজার থেকে আজ বুধবার গণসংযোগ শুরু করেন ইশরাক হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে বিএনপির এই প্রার্থী ওই এলাকায় আসার আগেই ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড়। গণসংযোগ শুরুর আগে ইশরাক কিছু কথা বলেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
ইশরাকের মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। ইশরাকের পক্ষে ভোট চেয়েছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘ইশরাক ও তাঁর বাবা সাদেক হোসেন খোকা দুজনই আমার ছাত্র। সাদেকের অনুপস্থিতিতে তাঁর যোগ্য সন্তান ইশরাক হোসেন মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছেন। আমরা তার বিজয় দেখতে চাই।’
প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘ইশরাকের মতো তরুণদের মাধ্যমে আমাদের ইচ্ছেগুলো পূর্ণ হোক।’ তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু দেশের নেত্রী নন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। অন্যায়ভাবে তাঁকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা তাঁকে মুক্ত করতে চাই।’
ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করব, আপনাদের প্রতি যে গুরুদায়িত্ব আছে সেটা আপনারা পালন করুন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের উপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আপনার পালন করুন। আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন।’
ইশরাক আরো বলেন, ‘গতকাল আমাদের উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থীর প্রচারণায় পেছন থেকে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত একটা গ্রেপ্তার হতে দেখলাম না। আমি আপনাদের পুলিশ-প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করব, আপনাদের প্রতি যে গুরুদায়িত্ব আছে সেটা আপনারা পালন করুন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আপনার পালন করুন। আমি আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করব, আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এ শহরটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক, এই অধিকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার একটা সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতাসীন আছেন তারা এই দেশটাকে দখল করে রাখছেন। অন্য যারা আছে তাদের কোনো কথা বলার অধিকার নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, তাদের কোনো অধিকারই নেই। আমরা বলে দিতে চাই, এটা আর আমরা মানব না। আজকে এখানে আসার আগে আমি শুনতে পেয়েছিলাম যে এখানে নাকি একটা বাধা প্রদান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মানব না, কোনো বাধা আমরা মানব না। ঢাকা শহরে কোনো সন্ত্রাসীদের আমরা স্পেস দেব না। এই দেশটা আপনাদের, এই দেশটা আমাদের সবার। আমরা কারো জমিদারিত্ব মানব না।’
প্রচারণায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা খালেদা মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও ‘ধানের শীষে’ ভোট চান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, বিএনপিনেতা মীর সরাফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশারসহ বিপুল কর্মী-সমর্থক।