উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে : বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাঁশের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
আজ শনিবার নীলফামারী জেলার ডোমারে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বনমন্ত্রী।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী, বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বাঁশ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে নীলফামারীতে বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে বাঁশ চাষ, বাঁশ ও বাঁশজাতপণ্যের মান বাড়ানো, বাঁশ সংরক্ষণ করে মূল্যবান ও আর্কষণীয় পণ্য তৈরিকরণ এবং বাজারজাতকরণের বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া এ কেন্দ্রে বাঁশঝাড় ব্যবস্থাপনা ও রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগে বাঁশ, কাঠ, ছন ইত্যাদির ব্যবহারিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধিবিষয়ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের বেকারত্ব দূর ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। তিনি বলেন, অতীতে বাসগৃহ নির্মাণসহ গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরিতে বাঁশ ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে কাঠ এবং প্লাস্টিক সামগ্রী সেই স্থান দখল করে নিয়েছে। কাঠের বহুল ব্যবহারের ফলে অধিকহারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আর ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহারের ফলে আজ পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, গবেষণা, বাঁশ ব্যবস্থাপনা ও চাষিদের বাঁশ চাষে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে বাঁশের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হলে বৃক্ষনিধন ও ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।