কক্সবাজারে দুই নারীকে পিটিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নে দুই নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রাম থেকে শামসুন্নাহার (৮৩) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে হত্যার অভিযোগে তাঁর ছেলে নাছির উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে, একই ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলার জুম এলাকার গৃহবধূ সালমা বেগমের লাশ চমেক হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর স্বামী আলমগীরকে আটক করা হয়েছে।
বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মুহাম্মদ ইউনুস জানান, নাছির উদ্দিন ও তাঁর ভাইদের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাছির উদ্দিন ধারালো দা নিয়ে রাগারাগি করলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রতিবেশীরা তাঁকে শান্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। নাছির তাঁর বাড়িতে মা শামসুন্নাহারকে নিয়ে থাকতেন। সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে নাসিরকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পেকুয়া থানার খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে বৃদ্ধা শামসুন্নাহারের (৮৩) মরদেহ উদ্ধার করে।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন সরকার জানান, বৃদ্ধা শামসুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ সময় ছেলে নাছির উদ্দিনকে আটক করা হয়।
পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইন উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, একই ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলার জুম এলাকায় সালমা বেগম নামের এক কিশোরী গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সালমা। এ সময় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী আলমগীরকে চমেক হাসপাতাল থেকে আটক করে। আটক আলমগীর বারবাকিয়া ইউনিয়নের ছনখোলারজুম এলাকার জাফর আলমের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার রাত আলমগীর যৌতুকের টাকার জন্য লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে স্ত্রী সালমা বেগমকে। ওই দিন রাতে তাঁকে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান তিনি। গত তিন মাস আগে টইটং ইউপির পণ্ডিতপাড়ার বাদশাহর মেয়ে সালমা বেগমকে বিয়ে করেন আলমগীর। সালমা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে ছালমাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান স্বামী আলমগীর।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম পৃথক দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গৃহবধূ সালমার মরদেহ চমেক হাসপাতাল থেকে পেকুয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।