কত ট্রেন আসে-যায়, প্ল্যাটফর্মে লোকের অভাব নেই : গয়েশ্বর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/10/gayeshwar-chandra-roy.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দুই-একজন নেতাকর্মী দল ছাড়লে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি দলের সুসময়ে এমপি-মন্ত্রী হওয়া অনেক মানুষকে। কারণ তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে বর্ণাঢ্য জীবন লাভ করেন নাই।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে খালেদা জিয়া যে সরকার গঠন করেছিলেন তখন অনেক নামি-দামি নাদুস-নুদুস নেতারা আমাদের দলে এসেছেন। তাদের মনে হয় দেশের এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, আর সহ্য হচ্ছে না। সেই কারণে তারা প্রস্থান করতে চায়, এগুলো নিয়ে মনে হয় বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। কমলাপুরে গিয়ে দেখবেন কতগুলো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে, আবার অপর পাশ থেকে কতগুলো ট্রেন আবার আসছে। তারপরও আপনারা দেখবেন প্ল্যাটফর্মে লোকের অভাব নেই।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম, একটি বটগাছ। ক্লান্ত শরীর নিয়ে মানুষ এখানে আসবে, বিশ্রাম নিবে, পিপাসা মেটানোর পরে আবার চলে যাবে- এটাই স্বাভাবিক। এদেরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। আমাদের বিচলিত হওয়ারও কিছুই নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের স্বাধীনতা নাই, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। যার কারণে দেশে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তারপরেও কিন্তু খেলা থেমে নেই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে দেশকে মুক্ত করাই ছিল ৭ নভেম্বরের চেতনায় চেতনাবোধ। আজকে আগ্রাসী শক্তির কাছে আমরা যেন মাথা বিক্রি করে দিয়েছি। যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ-সম্পদ সব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কোনোভাবেই যেন ধৈর্যহারা না হই।
আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মাদ জসিম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, জিয়াউল হায়দার পলাশ, মাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক সেলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষিবিদ মেহেদি হাসান পলাশ, আলহাজ খলিলুর রহমান ইব্রাহিম এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি প্রমুখ।