কুষ্টিয়ায় দুই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, হুমকির মুখে বিভিন্ন স্থাপনা
কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে ৫০০ বছরের পুরোনো খোকসার ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ি মন্দির, মহাশ্মশান, শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নদী তীরবর্তী অসংখ্য স্থাপনা। নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এরই মধ্যে নদী পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নদীসংলগ্ন নতুন নতুন এলাকা। চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পদ্মা ও গড়াই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান জানান, গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ৫০০ বছরের পুরোনো খোকসার ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ি মন্দির, মহাশ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও সংকট রয়েছে গো-খাদ্যের।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলের আমন ধান, পাটক্ষেত ও মরিচক্ষেতসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম। এ ছাড়া এসব এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।