কেরানীগঞ্জে বিপুল নকল প্রসাধনী জব্দ

রাজধানীর কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনসন বেবি লোশন, বেবি অয়েল, অলিভ অয়েল, কুমারিকা হেয়ার অয়েল, ডাবর আমলা তেলসহ ২৬টি বিদেশি পণ্যের প্রায় আট কোটি টাকার নকল প্রসাধনী জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসঙ্গে ছয় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, সিপিসি-৩ ও র্যাব-১০-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। উপজেলার জিনজিরা আতাসুর এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের পরিচালনায় এবং সিপিসি-৩ ও র্যাব-১০-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সমন্বয়ে ওই এলাকায় নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন কোম্পানির নামে নিম্নমানের, ভেজাল ও নকল প্রসাধনী তৈরি এবং মোড়কজাত করে বাজারজাত করার দায়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালা করাসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারখানাগুলোতে দেশি-বিদেশি নামীদামি ব্র্যান্ডের নামে ২৬ প্রকারের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরি হচ্ছিল, যা অধিকাংশ শিশুদের জন্য তৈরি।

র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। নকল পণ্যগুলো প্রথমে রাজধানীর চকবাজারে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে সেগুলো চলে যায় সারা দেশে। অতিরিক্ত লাভের আশায় এসব নকল পণ্য তৈরি করত চক্রটি।
সারোয়ার আলম আরো জানান, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এসব ভেজাল কসমেটিকস অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য। কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা বেবি পণ্য ব্যবহার বাচ্চাদের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এগুলো কিনে ক্রেতারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছেন।
যেসব দোকানে এ ধরনের নকল প্রসাধনী বিক্রি করা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে সেখানেও অভিযান চালানো হবে বলে এই র্যাব কর্মকর্তা।