কোরবানির জন্য দেশে প্রস্তুত এক কোটি ১৯ লাখ পশু : মন্ত্রণালয়
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য দেশেই প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। তাই এবার কোরবানিকে সামনে রেখে দেশের বাইরে থেকে গবাদিপশু আসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন কোরবানির জন্য প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত আছে। গত দুটি কোরবানির ঈদে আমরা দেশের বাইরে থেকে পশু আসতে দেইনি। তাতে পশুর সংকট হয়নি। এ বছরও দেশে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। সীমান্তেও আমরা যোগাযোগ করছি, যাতে চোরাইপথে বা অন্যকোনো পথে একটা পশুও দেশের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে। কারণ আমাদের খামারিদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা অনেক কষ্ট করে খামার তৈরি করেছে, বিনিয়োগ করেছে। তাদের পশু বিক্রি হবে না, বাইরে থেকে আসবে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শমী কায়সার, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, এ সরকারের আমলে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দেশে এখন ৪১ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার গবাদিপ্রাণি মজুদ আছে। এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং সব সহযোগিতার কারণে সরকারি-বেসরকারি খাতে এ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশটা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আমাদের দেশে মাংস, দুধ ডিমসহ অন্যান্য প্রাণিজাত পণ্য যেভাবে উৎপাদন করা সম্ভব, এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই সম্ভব নয়। এসব পণ্য আমরা বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছি।
ঢাকার বাইরে প্রতিটি পৌরসভা এবং গ্রোথ সেন্টারে আধুনিক স্লটার হাউস নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও এ সময় জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্লটার হাউসে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু জবাই হবে, যেখানে রক্ত বা বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা হবে।