খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে আইন মেনে কিছু করা যায় কি না দেখা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই বিষয়টি জানানো হবে। তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাঁকে (খালেদা জিয়া) যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা দ্বিতীয়বার দেওয়ার কোনো সুযোগ আইনে নেই।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জন আইনজীবীর আবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তসাপেক্ষে তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমি আগেও বলেছি, আইনের এ সুযোগটি দ্বিতীয়বার তিনি পাবেন না। এটাই আইনের বিধান। তবে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ আইনজীবী এ বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন করেছেন। আমরা দেশের ও এ উপমহাদেশের আইন ও উচ্চ আদালতের রেফারেন্সগুলো পর্যালোচনা করে দেখছি। আইনের ভেতরে থেকে কোনো সুযোগ দেওয়া যায় কি না, সেটা আমরা দেখছি।’
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবরার ফাহাদ একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তাঁকে ঘিরে তাঁর পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিলো। তাঁকে রাতভর নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনা গোটা দেশের মানুষের মনে আঘাত করেছে। মানুষ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। এ হত্যা মামলার দ্রুত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি আসবে। আমরা বিচারহীনতা সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই, এ রায় তারই প্রমাণ।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, উচ্চ আদালতেও এ মামলার রায় দ্রুত যাতে নিষ্পত্তি হয়, রাষ্ট্রপক্ষ সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেবে। আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে।
সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডা. মুরাদের আচরণে দেশের সমগ্র মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমিও তার এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছি। আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি তার দলীয় সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। কেন্দ্র এখন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। দল তাকে বহিষ্কার করল তখন তার সংসদ সদস্য পদ থাকা বা না থাকার বিষয়ে আলোচনা হবে।