গাজীপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম
কবি ও প্রাবন্ধিক বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম শনিবার ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে গাজীপুর শহরের ছায়াবিথী এলাকায় নিজস্ব বাসভবনে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ শনিবার এই বীরমুক্তিযোদ্ধার প্রথম জানাজা মহানগরীর ধীরাশ্রমে এবং বাদ আছর শহরের রাজবাড়ি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সিটি গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়।
জানাজায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল মানুষ।
বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক খালেদ মাহবুব মোর্শেদ কাজলসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন তিনি গাজীপুরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাণী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম ১৯৩৩ সালে গাজীপুর সদরের মৈরান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম রহমত আলী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম অধ্যাপক এম এ মান্নান, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলামসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁর ছাত্র।