চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আগুন : তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রামে তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে চলমান প্রকল্পের তেলের পাইপ লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে। সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্পর্শকাতর রাষ্ট্রীয় একমাত্র তেল স্থাপনাটি। এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ৮টি গাড়ি, নৌ-বাহিনীর দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে। স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বিমান ও নৌবাহিনীসহ জ্বালানি সেক্টরের বিভিন্ন সংস্থা। পরে ১২টা ৪৫ মিনিটে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ইনস্টলেশন অফ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এসপিএম প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সেই চলমান প্রকল্পের নির্মাণাধীন তেলের পাইপলাইনের কাজ করার সময় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের মিটারিং সেকসন তেল ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা মেলে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। তবে এ ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনীসহ জ্বালানি সেক্টরের বিভিন্ন সংস্থা। পরে ১২টা ৪৫ মিনিটে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ইনস্টলেশন অফ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এসপিএম প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সেই চলমান প্রকল্পের নির্মাণাধীন তেলের পাইপলাইনের কাজ করার সময় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় চারজন আহত হওয়ার খবর জানা গেলেও তা অস্বীকার করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। এ ঘটনার সময় পরিশোধনাগারের কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটেনি। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার কারণে সেখানে আগে থেকেই রিফাইনারির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি রাখা ছিল। বেলা ১১টায় আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রথমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফোম দিয়ে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু হয়।
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং হল জাহাজ থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল স্থানান্তরের প্রকল্প। মহেশখালী থেকে সাগরের তলদেশে ও মাটির নিচ দিয়ে পতেঙ্গা পর্যন্ত জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল স্থানান্তরের এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় তেল স্থানান্তরের একটি পাইপালাইন নেওয়া হচ্ছে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। সেখানে এখন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এই কাজের সময়ই মূলত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর ইস্টার্ন রিফাইনারিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহম্মেদ জানান, ইস্টার্ন রিফাইনারির মূল ট্যাংক ও স্থাপনার বাইরে সীমানার শেষ প্রান্তে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্পের টার্মিনাল সুবিধার উন্নয়নের কাজ চলছিল তখন। ইস্টার্ন রিফাইনারির আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যথেষ্ট অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়নি। যে এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা মূল ট্যাংক এলাকার বাইরে।
ইআরএলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই সংবাদ সম্মেলনে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক মুস্তফা কুদরত-ই-ইলাহী, ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, যেখানে আগুন লেগেছে তা খোলা জায়গা। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নির্বাপণে অংশ নেয়। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল ও ক্ষয়ক্ষতি কত, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। ড্রেনে পড়ে একজন আহত হলেও আগুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক রায়হান আহমাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বের করবে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদনে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।