চন্দ্রিমা উদ্যানে ঈদ আনন্দ রাজধানীবাসীর
রাজধানীতে ঈদের আনন্দ মানে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড়। চিরচেনা সেই ভিড় এখন আর নেই। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধে বন্ধ রয়েছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান এবং শ্যামলীর শিশু মেলা। তাই খোলা উদ্যান হিসেবে পরিচিত চন্দ্রিমা উদ্যানে ঈদ আনন্দে মেতেছে রাজধানীবাসী।
আজ শুক্রবার দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছে শিশুরা। এ সময় অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে।
চন্দ্রিমা উদ্যানে বেড়াতে আসা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় এবং দূরপাল্লার গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারিনি। তাই ছেলে-মেয়েদের আবদার মেটাতে চন্দ্রিমা উদ্যানে এসেছি।’
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীতে সব সময় জ্যাম লেগে থাকে। ঈদের সময় একটু খোলামেলা বাতাস ও পরিবেশ ভালো থাকে। তাই একটু প্রশান্তির জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চন্দ্রিমা উদ্যানে বেড়াতে এসেছি। এ ছাড়া যেখানে জটলা দেখা যাচ্ছে, সে জায়গা থেকে সরে খোলামেলা জায়গায় আসছি।’
উদ্যানে ঘুরতে আসা জ্যোতি নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘করোনার লকডাউনের পরে কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আজকে একটু ঈদের দিন। তাই আনন্দ করার জন্য ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছি।’
জ্যোতি বলেন, ‘যেতে চেয়েছিলাম চিড়িয়াখানায়। কিন্তু চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে বেড়াতে এসেছি।’
এদিকে অনেকে আজ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে মন খারাপ করে ফিরে যান। এমনই একজন নাজমুল হক বলেন, ‘রামপুরা থেকে পরিবারসহ চিড়িয়াখানায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি বন্ধ। আমার মতো শত শত মানুষ সকাল থেকে এসে ফিরে গেছে। এখন চন্দ্রিমা উদ্যান বা অন্যত্র ঘুরতে যাব।’
চিড়িয়াখানার সামনের দোকানি জগলুল হক বলেন, ‘ঈদের সময় মনে করেছিলাম চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে। ঈদের আগে করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা করতে পারি নাই। ঈদের আগে পোলাপানদের নতুন জামাকাপড় দিতে পারি নাই। মনে করেছিলাম ঈদের সাত দিন বিক্রি করে লস তুলমু এবং পরিবারের সবাইরে দেরি হলেও পোশাক কিনে দিমু। কিন্তু বন্ধ থাকায় এখন চালান উঠাতে পারমু না।’
জগলুল হক বলেন, ‘সরকার আমাগো দিলে তাকালে ব্যবসা করতে পারমু। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা খুব খারাপ অবস্থায় আছে।’