চাঁদপুরে চরপাথালিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের চাবি হস্তান্তর
চাঁদপুরে আশ্রয়ণ দুই প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চরপাথালিয়া-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার মো. আল এমরান খানের কাছে প্রকল্পের চাবি হস্তান্তর করেন মেজর মো. তাহমিনুল হাসান।
সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ৪১ মিডিয়াম রেজিমেন্টের তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি পাকা ব্যারাক হাউজ নির্মিত হয়। এই প্রকল্পে ১৮০টি পরিবারের জন্য ৩৬টি পাকাঘর, ৭২টি শৌচাগার, ৩৬টি নলকূপ ও ৩৬টি গোসলখানা রয়েছে।
মেজর মো. তাহমিনুল হাসান হাসান জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চরপাথালিয়া-২ একটি প্রত্যন্ত ও নদীভাঙন কবলিত অঞ্চল। এই এলাকার গৃহহীন পরিবারদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রীর মহান উদ্যোগকে সফল করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্ত ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ৪১ মিডিয়াম রেজিমেন্টের তত্ত্বাবধানে গত ১০ এপ্রিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য ৬৬৫ ফুট ও প্রস্থ ৪৪০ ফুট। ওই আশ্রয়ণে ৩৬টি পাকা ব্যারাক হাউজ রয়েছে।
প্রতিটি ব্যারাক হাউজ এর দৈর্ঘ্য ৪৭ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ দশমিক ৮ ফুট। পাঁচ ইউনিট বিশিষ্ট প্রতিটি ব্যারাক হাউজ সম্পূর্ণ পাকা। অঞ্চলের ১৮০টি গৃহহীন পরিবারের বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ওই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মতলব উত্তরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মডেলের অংশ হিসেবে এবং একটি মানুষ যাতে ভূমি না থাকে, সেখান থেকেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চরপাথালিয়া-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। যারা সুবিধাবঞ্চিত এবং নিজস্ব জমি নেই, তাদেরকেই এখান থেকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। আমি আশা করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮০টি পরিবারের মাঝে হাসি ফুটে উঠবে।’