টাকা দিয়েও সরকারি ঘর না পাওয়ার অভিযোগ ভূমিহীন জগদিশের
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় টাকা দিয়েও সরকারি ঘর না পাওয়ায় অভিযোগ করেছেন ভূমিহীন জগদিশ চন্দ্র রায়। উপজেলার ২ নম্বর রসুলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র ঘর বরাদ্দের নামে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন জগদিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, দুর্যোগ সহনশীল ঘর বরাদ্দের নামে গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাহারোল উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র ঘর বরাদ্দের কথা বলে ৫১ হাজার নেন ভূমিহীন জগদিশ চন্দ্র রায়ের কাছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে টাকা লাগবে বলে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে টাকাগুলো কৌশলে নেন।
এ ব্যাপারে জগদিশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি একজন ভূমিহীন ব্যক্তি। আমার শ্যালকের কাছে ২০ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে এবং আমার একটি গরু বিক্রি করে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্রকে টাকা বুঝিয়ে দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি সরকারি ঘর বুঝে পেলাম না।’
এ নিয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সবার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরুপায় ভূমিহীন শেষ পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘর পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন।
এদিকে, অভিযুক্ত ২ নম্বর রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। একটি সহল আমাকে সমাজে হেয় করতে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘এটিও ষড়যন্ত্রের অংশ।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’