ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।’ বাংলাদেশে কাতার দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সৈয়দ যারাল্লা এসএস আল-সামিক বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাতকালে তারা দু‘দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ছাড়াও ২০২৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২৬-এর ভেন্যু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ বছর সেপ্টেম্বরে রুমানিয়ার বুখারেস্টে অনুষ্ঠেয় প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২২-এ আইটিইউ সদস্য দেশসমূহের ভোটে ২০২৬ সালের কনফারেন্সের ভেন্যু নির্ধারণ হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও কাতার ভ্রাতৃপ্রতিম দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দু‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্য পদ অর্জন করে। কাতারও একই বছর আইটিইউর সদস্যপদ অর্জন করে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ অগ্রগতিতে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অগ্রগতির অভিজ্ঞতা এবং এ খাতের দক্ষ মানব সম্পদ কাতারের কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব এই নীতি কাতার কাজে লাগাতে পারে।’ মন্ত্রী আসন্ন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করার জন্য কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
সৈয়দ যারাল্লা এসএস আল-সামিক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগখাতসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি আগামীতে বাংলাদেশ ও কাতাদের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।