তরুণীকে জাপটে ধরার অভিযোগে এএসআই প্রত্যাহার
রাজশাহীর এক পুলিশ ফাঁড়িতে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কর্তৃক এক তরুণী (১৮) শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এএসআইকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাকে প্রত্যাহার করেন। আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস ওই এএসআইকে প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।’
বিচারপ্রার্থী তরুণীর অভিযোগ, এএসআই শামীম তাকে ফাঁড়ির ভেতরে জাপটে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। সম্প্রতি ওই তরুণী স্বামীর নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের জরুরি সেবা চান। এরপর নগরীর বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম গিয়ে ঘটনা তদন্ত করে আসেন।
গতকাল রোববার এএসআই শামীম ওই তরুণীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে পাঠান। সে অনুযায়ী তিনি তার মাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যান।
এ সময় এএসআই শামীম ওই তরুণীর মাকে রুমের বাইরে যেতে বলেন। পরে ওই রুমের ভেতর তরুণীকে তিনি জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাবা বোয়ালিয়া থানায় এএসআই শামীমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি আরএমপির কমিশনারের কাছেও যান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনার অভিযুক্ত এএসআইকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করেন।
আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘ওই তরুণীর বাবা কমিশনার স্যারের সঙ্গে দেখা করে আজ সোমবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এ অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য এএসআই শামীমের মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরিচয় দিয়ে খুদেবার্তা পাঠানোর পরও তিনি সাড়া দেননি।