নবীগঞ্জে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের মামলায় আ.লীগনেতা গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইমদাদুর রহমান মুকুল (৫০) উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা বরাত দিয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ জানান, উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে বেশ কয়েকদিন ধরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা হচ্ছিল। আজ বিকেলে তাঁর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামি আওয়ামী লীগনেতা মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলের ফিশারির পাহারাদার আবুল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী জারু বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নোয়াগাঁও গ্রামের সাতজনকে আসামি করে ফিশারির মালিক নুর উদ্দিন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
গত ৩০ মে সকালে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বৈঠক চলছিল। এ সময় সাতাইহাল গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নোয়াগাঁও গ্রামের জামাল হোসাইন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।