নাসির-তামিমার অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ, রায় ২৮ ফেব্রুয়ারি
ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী পরিচয় দেওয়া তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালত বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সেই অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে আবেদন করেন ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা।
এর আগে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর নাসির ও তামিমা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলায় সমন জারির নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাঁদের এক মেয়ে রয়েছে, যার বর্তমান বয়স আট বছর।’
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন বিমানবালা। তিনি সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হতো।
মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নম্বর আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এ ধরনের ছবি দেখে হতবাক হন। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
মামলায় আরও বলা হয়, তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে-বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার সঙ্গে তামিমা আছেন।
মামলায় বলা হয়, আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তাঁর শিশু কন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।