নিখোঁজের চার দিন পর রাজশাহীর চার স্কুলছাত্রী সাভার থেকে উদ্ধার
নিখোঁজের চার দিনের মাথায় রাজশাহী মহানগরীর চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজশাহীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকা থেকে তাদের পাচার ও যৌনকর্মে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন চাঁদনী (৩০) নামের এক নারী। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঁদনী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন। রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২৬ জুলাই সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে চার ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুলের ছুটি শেষে বিকেলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় অভিভাবকেরা খোঁজখবর শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানান, চাঁদনী নামের এক নারীসহ চার ছাত্রীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তরের গেট দিয়ে তাঁরা যেতে দেখেছেন।
পরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর অভিভাবকেরা চাঁদনীর স্বামী সুরুজ আলীর কাছে গিয়ে জানতে পারেন, চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যান এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসেন। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। অভিভাবকদের ধারণা—চাঁদনী ও তাঁর সহযোগীরা চার স্কুলছাত্রীকে পাচার ও যৌনকাজে জড়িত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছেন। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) সজীবুল ইসলাম ও তাঁর দল আসামির অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান শুরু করে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় রাজপাড়া থানা পুলিশ ঢাকা জেলার সাভার থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর হেফাজত থেকে চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা ছাত্রীরাসহ পাচারকারী চাঁদনীকে আজ শুক্রবার ভোরে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদনী যৌনকাজে জড়িত করার জন্য চার স্কুলছাত্রীকে পাচার করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন।