নিখোঁজের দুদিন পর মিলল মেডিকেল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ

নিখোঁজের দুদিন পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের (ফমেক) ছাত্র নয়ন চন্দ্র নাথের মরদেহ পাওয়া গেছে। ফমেক হাসপাতালের পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফরিদপুর শহরের মুন্সিবাজার বাইপাস সড়কের একটি স মিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নয়নের লাশ পাওয়া যায়।
নয়ন চন্দ্র নাথ ফমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর এলাকার মৃত দিলীপ চন্দ্র নাথের ছেলে।
নয়নের বন্ধুরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন নয়ন। তাঁর ইচ্ছে ছিল সার্জন হওয়ার। কিন্তু ছোটবেলা থেকে তাঁর আঙুলে সমস্যা ছিল। বাঁকা হয়ে থাকত ওই আঙুল। এ জন্য নয়নের ধারণা ছিল, তিনি সার্জন হতে পারবেন না। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নয়ন।
নয়নের বন্ধুরা আরো জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি-শার্ট পরে ছাত্রাবাস থেকে বের হন নয়ন। এ সময় তিনি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ তাঁর কক্ষে রেখে যান।
ফমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এস এম খবিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আমি খবর পাই, পঞ্চম বর্ষের ছাত্র নয়ন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটি পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানাই এবং জিডির ব্যবস্থা করি। পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। এ ছাড়া গতকাল স্থানীয় এমপি মহোদয়কেও আমি এ ঘটনা সম্পর্কে জানাই। আজ ওর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি দুঃখজনক।’
অধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘জানা যায়, কিছু দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল নয়ন। ওর সার্জন হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ওর একটি আঙুলে সমস্যা ছিল। এবং সেটি অপারেশনের পরও ঠিক হবে না বলে ভয় ছিল নয়নের মধ্যে। ময়নাতদন্তের পর আমরা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলতে পারব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।