নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ব্রহ্মপুত্রে অষ্টমীর স্নানে মানুষের ঢল
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান উদযাপিত হয়েছে। তবে স্নান উপলক্ষে নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার কোনো মেলা বসেনি।
প্রতি বছর চিলমারীতে এই তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নানে দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেয়। তিন থেকে চার কিলোমিটারব্যাপী ব্রহ্মপুত্রের চরে বসে অষ্টমীর মেলা। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে চলা লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাত থেকে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এবারের পুণ্যস্নানের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের পুটিমারী এলাকা নির্ধারিত স্থান থাকলেও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান করে পুণ্যার্থীরা।
শত শত বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ত্রিধারায় স্নান করে আসছে।
স্নান উৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীরা জানায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজকের এই দিনে পুণ্যস্নান করলে পুণ্যতা লাভ করা যায়। তাই আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি।
মেলার আয়োজকরা জানায়, করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেজ্ঞা না থাকলে এবারে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি পুণ্যার্থী যোগ দিত স্নান উৎসবে।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টহল টিম কাজ করেছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে বেশি মানুষ সমবেত হচ্ছে, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানেই গিয়ে সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এ বছর অষ্টমীর স্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও বিছিন্নভাবে নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি।’