নৌশ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল ভৈরব নদীবন্দর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/30/bhairab-noujan-pic.jpg)
সারা দেশের মতো নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরব নদীবন্দর অচল হয়ে পড়েছে। ভৈরব থেকে কোনো নৌযান পণ্য নিয়ে রাজধানীসহ দেশের কোনো অঞ্চলে যাতায়াত করছে না। বন্ধ রয়েছে নৌযান থেকে, সিমেন্ট, সার, কয়লা, জ্বালানি তেল সরবরাহ। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে অর্ধশতাধিক নৌযান।
ভৈরব থেকে প্রায় ১৩টি জেলায় তেল সরবরাহ করা হয় জানিয়ে ভৈরব জ্বালানি তেল সরবরাহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মজুদকৃত তেলে আজ থেকে দুই থেকে তিন দিন চলবে। তবে ধর্মঘট দীর্ঘ হলে তেলের জন্য নৌ ও সড়কপথের অনেক যানবাহন বন্ধ হয়ে যাবে। সমস্যা দেখা দেবে সেচকাজেও।’
জাহাজ তরিকতের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। যত দিন আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হবে, তত দিন আন্দোলন চলতে থাকবে।’
সেকেন্ড মাস্টার মো. সজল বলেন, ‘২০১৬ সালে যে গেজেট হয়েছিল সে অনুযায়ী আমরা বেতন পাচ্ছি না। জাহাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অথচ আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় হচ্ছে না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
কেএফসি-২ নামের জাহাজের সুকানি মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘ঝড় আসলে মানুষ ঘরের ভেতর যায়। আর আমাদের ঝড়ের সময় নদীতে থাকতে হয়। আমরা চব্বিশ ঘণ্টা ডিউটি করি। কত বিপদ-আপদ আমরা মোকাবিলা করি। কিন্তু আমাদের দুঃখ-কষ্ট মালিকরা দেখতে চায় না।’ মালিকদের কাছে আমরা বেতন-ভাতাদি বাড়াতে বললে মালিকরা বাড়ায় না।’