পাকুন্দিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় আসামি দেড় হাজার, ২৪ জন কারাগারে

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় ১৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় দেড় হাজার আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পুলিশের কর্তব্যে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করেছেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত ২৪ আসামিকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার ২৪ আসামিকে কিশোরগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিনসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল পাকুন্দিয়ার সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা মোড় এলাকায় আয়োজিত বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড করে টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। তন্মধ্যে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।