পাবনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত ১৫

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুর, ফসলের ক্ষেত নষ্ট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করেছে।
আজ শনিবার উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের ভিটেপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের ভিটেপাড়া গ্রামের প্রামাণিক গ্রুপ ও আজম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই দুটি গ্রুপ এলাকায় প্রায়ই নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই ধারাবহিকতায় সম্প্রতি ডিসের লাইনের টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে পাশের সরিষা গ্রামের মোশারফের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন। এক পর্যায়ে আজম গ্রুপের লোক তাতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয় প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য আজম গ্রুপের লোকজন চেষ্টা করলেও প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন মানতে নারাজ হয়। এরই জের ধরে আজ দুপুরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। একটানা প্রায় তিনটা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় সাত থেকে আটশ লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফালা, লাঠি, ঢাল, তলোয়ারসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে তারা। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ সময় উভয়পক্ষকে থামাতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ প্রথমে হিমশিম খেলেও পরে বেড়া থানার পুলিশ ফোর্স নিয়ে একযোগে অ্যাকশানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদকেও পুলিশের সঙ্গে উভয়পক্ষকে থামাতে দেখা যায়।
ভিটেপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর আলীম মণ্ডল ও মনসুর বলেন, প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন হামলা করে তাদের প্রায় ছয় বিঘা জমির রসুন, করোলাসহ বিভিন্ন ফসলাদি নষ্ট ও তুলে নিয়ে যায়।
প্রামাণিক গ্রুপের মজিবর ও মনিরুল অভিযোগ করে জানান, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয় এবং টিভিসহ টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহামম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আরও জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’