পিরোজপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘটে এ ঘটনা। আহত উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে মতিউর রহমান উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসভবন থেকে সরকারি গাড়িতে করে বের হন। পথিমধ্যে তিনি গাড়ি থামিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় সজীব হাওলাদার উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমানকে কয়েকটি ঘুষি মারেন। একই সঙ্গে মতিউরের সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, ‘ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ছেলে অসুস্থ হয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে দেখতে সোমবার রাত আটটার দিকে আমি বাসা থেকে হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হই। এ সময় আমার গাড়ি থামিয়ে সজীব হাওলাদারসহ তিন থেকে চার জন অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা আমার গাড়ি ভাঙচুর করেন।’
মতিউর বলেন, ‘বিষয়টি থানাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হবে।’
সজীব হাওলাদারের সঙ্গে থাকা উত্তম কুমার বলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে সরকারি ঘর পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা দিই। ঘর বরাদ্দ না পাওয়ায় সজীব হাওলাদারকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন। এ সময় সজীবের সঙ্গে চেয়ারম্যানের মারামারির ঘটনা ঘটে।’
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।