‘পেঁয়াজের মতো চালের দাম নিয়ে কেলেঙ্কারির আশঙ্কা নেই’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে আমন মৌসুমে ধান ওঠার সঙ্গে চালের দাম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ পেঁয়াজের মতো চাল নিয়ে কোনো ধরনের কেলেঙ্কারির আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে খাদ্যভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। সভায় চালকল মালিকরা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে চালকল মালিকদের সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান।
চালের দাম নিয়ে দেশে কোনো ধরনের কেলেঙ্কারি বা অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরির আশঙ্কা নেই বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। আমাদের মজুদ অতীতের সব সময়ের চেয়ে এখন বেশি। ফলে পেঁয়াজের মতো কোনো ধরনের কেলেঙ্কারির আশঙ্কা নেই।’
খাদ্যমন্ত্রী গত কয়েক বছরের চালের সরু চালের বাজার দর উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৪ সালে এক কেজি সরু চালের দাম ছিল ৪৪ টাকা ৫২ পয়সা। ২০১৫ সালে তা কমে ৪২ টাকা ৮৩ পয়সা হয়। ২০১৬ সালে ছিল ৪৬ টাকা ৬৯ পয়সা। ২০১৭ সালে অস্বাভাবিভাবে বেড়ে গিয়ে তা ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায় দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে কমে ৫১ টাকা ১০ পয়সা হয়। আর বর্তমানে ৫১ টাকা ১১ পয়সা।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক যাতে তার উৎপাদিত ধানের দাম পায় আমরা সেটাও চাই। ধানের দাম যখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হয় তখন কৃষক তার উৎপাদন খরচ ঠিক মতো পায় না। এখন ধানের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ফলে এখন কৃষক কিছুটা উপকৃত হচ্ছে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ধান তোলা শুরু হবে। তখন এমনিতেই ধানের দাম কমে আসবে। কাজেই চালের দাম আর বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’