বরিশালে গুলিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতার চোখ নষ্ট
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতার চোখ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল। ওই দুই নেতা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বিভাগীয় পৌর মেয়রদের সাংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেলের দাবি, ‘গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা বিবর্ণ, ছেঁড়া ব্যানার অপসারণ করতে যায়। এ সময় ইউএনও তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং মহানগর যুবলীগ নেতা তানভীর সেখানে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় ইউএনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেন। এতে মনিরুল ইসলাম ও তানভীরের চোখে গুলিবিদ্ধ হয়।’
মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেলের আরও দাবি করেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই নেতাকে উন্নত চিকিৎসার জন ঢাকায় নেওয়া হয় ওই রাতেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।’
এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে মেয়র রুবেল বলেন, ‘যারা অকারণে গুলি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্ধ করে দিয়েছেন তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। যাতে ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে করা হয়েছে প্রধান আসামি। আজ শনিবার পর্যন্ত এই দুই মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।