বসুন্ধরা সিটিতে মোবাইলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও আস্তে আস্তে জমে উঠছে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল। ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে প্রবেশ মুখেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করছেন ক্রেতারা। প্রবেশের সময় বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক ক্রেতার হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে ও শরীরের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করাচ্ছেন।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে ক্রেতা বেশি ছিল বিভিন্ন মোবাইল ফোন ও গ্যাজেটের দোকানে। কাপড়ের দোকানিদের মধ্যে ছিল হতাশা।
স্মার্টেক্সের বিক্রেতা রায়হান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কয়েকদিন কম লোক হয়েছে। তবে দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বসুন্ধরা সিটিতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। তিনি বলেন, তবে কাপড়ের দোকানে ক্রেতা খুবই কম আসেন। বেশির ভাগ ক্রেতা বিভিন্ন মোবাইল দোকানে।
রায়হার বলেন, লকডাউন ও করোনার কারণে মানুষ এখন ঘর থেকে খুবই কম বের হয়। তাই সবাই মোবাইল বা বিভিন্ন গ্যাজেটের প্রতি ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে খুব কম বিক্রি হয়েছে। এভাবে বিক্রি হতে থাকলে সামনে কোরবানি ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এ ছাড়া বাসা ভাড়াও দিতে হিমসিম খেতে হবে।
বসুন্ধরা সিটির নিচতলায় স্যামসাং শো-রুমের বিক্রেতা হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দিন দোকানপাট বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। তবে এখন বিক্রি ভালো। সবাই এখন মোবাইল বা বিভিন্ন মোবাইল সামগ্রী ক্রয় করছেন বেশি।
নাজনিন নামের এক ক্রেতা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে তিন মাস ধরে ঘরে ছিলেন। মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একটি ফোন কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বাইরে বের হতে ভয় লাগে। তারপরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসেছি।’ তবে এখানে এসে ভালোই লাগছে বলে জানান তিনি।
ফাহিম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া হয় না। তারপরেও প্রয়োজনে বসুন্ধরা সিটিতে এসেছি। তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি খুব বেশি মানা হচ্ছে, তাই নিরাপদ লাগছে। তিনি বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে তেমন ভিড় না থাকায় নিরাপদে এসে কিছু প্রয়োজনীয় কাপড় কিনে নিয়েছি।’
দ্যা বডি শপের বিক্রেতা মারুফ বলেন, এখন মানুষ বসুন্ধরা সিটিতে এলেও প্রসাধনী কম কিনছেন। তবে এভাবে ক্রেতা না এলে দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।