বাঁধে ইঁদুরের তৈরি গর্ত দিয়ে ঢুকছে বন্যার পানি
যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৮৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৬ হাজার ১০০টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার মানুষ। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার লোকজন। এ ছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর এবং চন্দনবাইশা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ইঁদুরের তৈরি করা গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে পশ্চিম পাড়ে আসছে। বস্তা দিয়ে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, পানির চাপ আরও বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভয়ের কিছু নেই।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম জানান, আজ সারিয়াকান্দি উপজেলায় আরও ৫০ টন চাল এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যা প্রবণ উপজেলায় ১৭০ টন চাল উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা বন্যা প্রবণ এলাকা এবং বন্যার্তদের সার্বক্ষণিক খবর রাখছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বাঁধে বসতি থাকলে কিছু জায়গায় ইদুরের গর্ত থাকে। সেই গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে পশ্চিম পাড়ে আসছে। তবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। যমুনা নদীর পানি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। আগামী সপ্তাহ থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।