বাগেরহাটে ইয়াসের প্রভাবে দুই হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে গতকাল বুধবার দুপুরের জোয়ারে দুই সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চার উপজলোর নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। কিন্তু রাতের জোয়ারে স্বাভাবিক সময়ের মতো পানি হওয়ায় আতঙ্ক একটু কাটতে শুরু করে।
এছাড়া মোরেলগঞ্জে জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে নেয় জিনিয়া নামের চার বছরের এক শিশুকন্যাকে। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর পানি কমলে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে শিশুরটির লাশ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জিনিয়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের কামাল গাজীর মেয়ে।
খাউনিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ইয়াসের জোয়ারের পানির কারণে জেলায় এক কোটি ৫৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কৃষি বিভাগ যৌথভাবে ধারণা করছে। এ সময়ে ২০৯১টি চিংড়ি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে মৎস্য বিভাগ জানান। তবে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল বাগেরহাটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। জেলার উপকূলীয় এলাকা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৌদ্ধ বলেন, ‘পূর্ণিমার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপকূলীয় এলাকায় নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ দুপুর নাগাদ এ পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাটিতে এ পানি আবার নেমে যাবে।
তবে দুপুরের চেয়ে রাতের জোয়ারে পানির চাপ কম ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।