বিএনপির কর্মই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা : হানিফ
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহার করেছে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির কর্মই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা। ২০০৪ সালে ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গীদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর, এ হামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছিল।’
হানিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হানিফ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করায় এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে সেটিই লক্ষ্য।’
হানিফ আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করা আরও গতিশীল করাই এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য থাকবে।’
হানিফ আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে, সেটিই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। দেশের উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশের সব উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হয়েছে সেটা প্রমাণিত। এ দেশের মানুষ এটাই বিশ্বাস করে। আমাদের সে বিশ্বাসটা ধরে রাখার জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যাতে আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করা যায় এবং দেশকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।’
‘এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়’—জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘অনেক সময় সস্তা জনপ্রিয়তা নেওয়ার জন্য এ ধরনের কথাবার্তা বলেন। যাঁরা এ সব কথা বলেন, দয়া করে তাঁরা তাঁদের আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন। তাঁদের সময় তাঁরা কী করেছিলেন, নিজেরা যদি একটু স্মরণ করেন, তাহলে এসব কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের পিটিআই রোডের বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক পেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজারুল আলম সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।