ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মেলন শুরু হয়।

এর আগে আজ সকাল ১০টায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সিলেটের তামাবিল-ডাউকি আইসিপি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে বিএসএফ মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারের আইজি হারদীপ সিং বিজিবি মহাপরিচালককে ফুলেল সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর বিজিবি মহাপরিচালকসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বিএসএফের হেলিকপ্টারে করে গুয়াহাটিতে পৌঁছায়। সেখানে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা বিজিবি মহাপরিচালককে অভ্যর্থনা জানান এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।

চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ভারতের রাজধানী দিল্লির বাইরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এ সীমান্ত সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো- সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ, চোরাচালান রোধ, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার এবং সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।