হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মাঝেমধ্যেই সৃষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে একে অপরে প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে বিজিবি-বিএসএফ। অবস্থান নেয় মুখোমুখি। ফলে সীমান্ত পরিস্থিতি মুহূর্তেই অশান্ত হয়ে উঠে। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে অন্যরকম এক সীমান্ত ‘হিলি’। এখানে দুই দেশের যেকোনো ধর্মীয় উৎসব বা দিবসে একে অপরের মধ্যে সম্প্রীতির কমতি দেখায় না।
হিলি সীমান্তে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। এ সময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফের নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায়, তারা একে অপরকে মিষ্টি উপহার দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। একই সঙ্গে আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষেও আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিএসএফ সদস্যদের। আজ সকাল ১১টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটে এই পারস্পরিক আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে। বিজিবি বিএসএফকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে চারটি মিষ্টির প্যাকেট দিয়েছে। পক্ষান্তরে বিএসএফও বিজিবিকে তিনটি মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তারা কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ও করেছে।
বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, হিলি সীমান্তে দুই বাহিনীর মধ্যে সোহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ যেন বজায় থাকে এবং বিরাজমান সম্পর্ক যেন আরও জোরদার হয় সে লক্ষে তারা প্রতি বছর দুই দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় উৎসবে মিষ্টিসহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। এর ফলে দুই বাহিনীর মধ্যে এই আনন্দ ভাগাভাগিতে সীমান্তে যেকোনো সমস্যার সমাধান খুব সহজ হয়। এতে সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এদিকে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর জাসবির সিং বলেন, ভৌগোলিক কারণে হিলি সীমান্ত বিএসএফ ও বিজিবির কাছে গুরুত্ব বহন করে। তাই দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিভিন্ন উৎসবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছি। অন্য সীমান্তে এই রেওয়াজ খুবই কম। এ কারণে হিলি সীমান্তে আমাদের দুই বাহিনীর মধ্যে দিন দিন সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে আমরা পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করি। এভাবে আমরা পরিবার-পরিজন ছাড়া দায়িত্ব পালন করে থাকি।