বিপন্ন প্রজাতির উল্লুকসহ আটক ২, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিপন্ন প্রজাতির একটি উল্লুকসহ দুজনকে আটকের পর কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তাদেরকে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন—কুমিল্লার দেবিদ্বার ফতেয়াবাদ এলাকার মুবিন (৩০) ও দাউদকান্দি পেন্নাই এলাকার মো. মাজহারুল (৩৫)। আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। একইসঙ্গে উল্লুকটি উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, মুবিন ও মাজহারুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান, এসআই মো. সাজিব হোসেন, চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন ও সাতগড় বিট কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ বলেন, ‘উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গিবন উল্লুক। এটা মূলত গাছের মগ ডালে থাকে। প্রাণীটি বিপন্ন প্রজাতির। বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেখতে পাওয়া যায়।’ এই উল্লুকটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে, ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।’
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল। সেই তথ্যমতে আমরা উল্লুকসহ ওই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, তাঁরা বিক্রির উদ্দেশে বিরল প্রজাতির এই উল্লুকটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। আটক দুজন অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।