ভ্যানচালককে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আশরাফুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে ও শ্বারোধে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া ৩৭৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান (৪০) উল্লাপাড়া উপজেলার বন্যাকান্দি গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান ও স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান পলাতক রয়েছেন। আসামি সাইফুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাঁকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামি ভেলু ওরফে জুয়েল শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আদালতে মামলা চলমান আছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, কামারখন্দ উপজেলার বন্যাকান্দি গ্রামের খলিলুর রহমানের ভাগনে আশরাফুল ইসলাম। ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বন্যাকান্দি বাজারে ভ্যান রেখে সিডির দোকানে যান। এসময় একই গ্রামের ভেলু ওরফে জুয়েল ভ্যানটি চুরি করে সলপ বাজারে নিয়ে যায়। পরে ভ্যানচালক খবর পেয়ে সলপ বাজারে গিয়ে লোকজনকে ঘটনার বিষয়টি জানিয়ে বিচার প্রার্থী হলে এ বিষয় নিয়ে ভ্যানচালক আশরাফুলের সাথে ভেলু ওরফে জুয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। অতঃপর মীমাংসা হয়। ওই দিন রাতেই ভেলু ওরফে জুয়েল তার সহযোগী আব্দুল মান্নান ও সাইফুল ইসলাম তিনজন মিলে আশরাফুল ইসলামের ভ্যান ভাড়া নিয়ে কামারখন্দ উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে যাওয়ার কথা বলে। কামারখন্দ-বেলকুচি আঞ্চলিক সড়কের পাশে আবাদী জমির মধ্যে গিয়ে আশরাফুল ইসলামকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য পানিতে ডুবিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে তারা চলে যায়।
এ ঘটনায় নিহত আশরাফুল ইসলামের মামা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় প্রদান করেন।