মানবপাচার : ‘মূল হোতা’ নদী ও ছয় ‘সহযোগী’ রিমান্ডে
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ নদী ওরফে জয়া ও তাঁর ছয় সহযোগীকে চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার ওমেদার মোহাম্মদ সরোয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সম্প্রতি ভারতে বিবস্ত্র করে বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। পরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা পুলিশ ভুক্তভোগীর পরিচয় বের করে এবং নির্যাতনে জড়িত বাংলাদেশি তরুণ হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক বাবুকে শনাক্ত করে। এর পর থেকেই বেরিয়ে আসে ভারতে নারী পাচারের ঘটনাগুলো। এ সময় উঠে আসে নদী ওরফে জয়ার নাম।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সিনথিয়া নামের এক নারী গত শনিবার মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করেন। এতে নদীসহ এজাহারনামীয় আট থেকে দশজন ও অজ্ঞাতনামা আরও কিছু আসামির বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। গতকাল সোমবার যশোর ও নড়াইলে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৪০ হাজার টাকায় বিনিময়ে রনি নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দিলে নদী তাকে ভারতে পাচার করে দেন। এ ছাড়া এক পরিবারের দুই বোন ও তাঁর খালাকেও নদী ভারতে পাচার করে। পাঁচ মাস ভারতে নির্যাতনের পর গর্ভবতী অবস্থায় এক বোন বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারলেও আরেক বোন এবং তাদের খালা এখনও ভারতে রয়ে গেছেন।
হাতিরঝিল থানার দুটি মামলায় নদীর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি হৃদয় বাবুর ঘনিষ্ঠ বলে জানায় পুলিশ।