মীর নাছিরের ১৩, ছেলের ৩ বছরের সাজা আপিলেও বহাল

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপিনেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ১৩ বছর এবং তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে করা জরিমানার টাকাও বহাল রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নাজিব এ সংক্রান্ত আপিল শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসর্ম্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং ব্যারিস্টার মীর নাছির ও ব্যারিস্টার মীর হেলালের পক্ষে তাঁরা নিজেরাই শুনানি করেন।
রায়ের পর ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করব।’
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, রায়ে আমি খুশি। তাঁরা অবৈধ সম্পদ অর্জনে জড়িত ছিলেন, তা প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৪ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা পৃথক আপিলের ওপর হাইকোর্টকে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আপিল বিভাগ এ মামলায় তাঁদের জামিন বহাল রেখেছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই খালাসের ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আবার শুনানির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন বুধবার খারিজ করেন আপিল বিভাগ। দীর্ঘদিন পর শুনানি শেষে মীর নাছির ও মীর হেলালকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখেন।