মুন্সীগঞ্জে বাবার সামনে ছেলে খুন
মুন্সীগঞ্জ সদরের বন্দরনগরী মিরকাদিমে প্রতিপক্ষের হাতে পৌর কাউন্সিলর বাবার চোখের সামনে খুন হয়েছেন ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী সম্রাট আহমেদ ঝলক (২২)। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার নৌবন্দরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বিবিএর দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী সম্রাট আহমেদ ঝলক মিরকাদিম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ লিটনের ছেলে। তার বাড়ি পৌরসভার নৈদীঘিরপাথর এলাকায়।
এ ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস ছালামের ছেলে মানিক মিয়ার প্রতি অভিযোগের অঙুলি নির্দেশ করেছেন নিহত ঝলকের বাবা পৌর কাউন্সিলর লিটন।
স্থানীয়রা জানায়, ৩০ দিনের জন্য মিরকাদিম লঞ্চ ঘাট ইজারা আনেন আওলাদ নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি আওলাদ ঘাট ইজারা আনলেও বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রলার ও জাহাজ থেকে মালামাল উঠানামার জন্য পৌর মেয়রের ছেলে মানিক মিয়ার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এতে শ্রমিকরা পৌর কাউন্সিলর লিটনের দ্বারস্ত হন।
ঘটনার মীমাংসা করতে আজ দুপুর ১২টার দিকে পৌর মেয়রের ছেলেসহ গ্রুপের লোকজনকে লঞ্চঘাট এলাকায় ডেকে আনেন পৌর কাউন্সিলর। কথাবার্তার পৌর কাউন্সিলর লিটনকে ধাক্কা মারেন পৌর মেয়রের ছেলে ও তার লোকজন। এতে পৌর কাউন্সিলের ছেলে সম্রাট আহমেদ ঝলক বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়রের ছেলে মানিকের লোকজন বাবার চোখের সামনেই ছেলে সম্রাট আহমেদ ঝলককে ছুরিকাঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঝলকের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী সম্পদ বেপারী জানান, কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের মোমেন, সুমন, জালাল ও জিল্লু চড়থাপ্পর মারে এবং ছুরিকাঘাত করে। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ঝলক। তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।