মেহমান হয়ে এসে গৃহবধূর গলাকেটে পালল দুর্বৃত্তরা

পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়াপাড়া এলাকায় মুক্তি খাতুন রিতা নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় নিহত রিতার শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনুকেও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে তারা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) ওই এলাকার বাসিন্দা ও রূপপুর প্রকল্পের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু জানান, তাঁর ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বায়োজিদ সারোয়ার বেশ কিছু মানুষকে রূপপুর প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে পাঁচজন যুবক চাকরির জন্য তাঁর বাড়িতে আসেন। বায়োজিদ সেই সময় বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করান তাঁর স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতা। বেনু খাতুন সে সময় তার ঘরে কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। হঠাৎ হত্যাকারীরা তাঁর ঘরে ঢুকে গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার শুরু করলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে তাঁর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
হত্যাকারীদের মধ্যে একজনকে চেনার কথা নিশ্চিত করেন বলেন, ‘আমি একজনকে চিনতে পেরেছি।ওই যুবকের নাম সাব্বির হাসান। বাড়ি নাটোর জেলার বড়াই গ্রাম উপজেলার জোনাইল চর গোবিন্দপুর গ্রামে। বাকিদের মুখে মাস্ক থাকায় আমি চিনতে পারিনি।’
নিহত রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তাঁর মামাবাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে, তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এসে দেখেন তাঁর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তাঁর মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন।
পাবনার ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ওসি আসাদুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে।