মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদের নির্দেশ মন্ত্রীর
মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য উপখাতের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মৎস্যজীবীদের তথ্য সবসময় হালনাগাদ থাকতে হবে। প্রতিবছর এ তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী মৎস্যজীবী তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে। যারা আগে মৎস্যজীবী ছিল কিন্তু এখন এ পেশায় সম্পৃক্ত নেই তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসাথে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে।
অনেক সময় সঠিক তালিকা না থাকায় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এজন্য মৎস্যজীবীদের সহায়তা প্রদানের সময় তাদের নামের সাথে রেজিস্ট্রেশন নম্বর যুক্ত করে দিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাত এমনভাবে সামনে এগিয়ে নিতে হবে, যেন এ খাত করোনায় সৃষ্ট বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাতের সাথে যারা তৃণমূল পর্যায়ে সম্পৃক্তদের কীভাবে কর্মক্ষম করে তোলা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির যে ধাক্কা তা কাটিয়ে উঠতে এ খাত আরও অবদান রাখতে হবে।
‘এ বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর যে তিনটি দেশ মৎস্য খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় শঙ্কার বাইরে ছিল, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটা অর্জন। সংকট সময়ের এ অর্জন ধরে রাখতে হবে’ বলেন তিনি।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অপব্যয় রোধ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করে অর্থের অপচয় করা হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের মাছের চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৎস্য খাত বিশেষজ্ঞদের দেশে এনে যৌথভাবে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ উপখাতের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।