যে তিন কারণে পেঁয়াজের বাজারে ‘লাগাম’

বিদেশ থেকে আমদানির খবর, চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের অনাগ্রহ আর পচে যাওয়ার ভয়- এই তিন কারণে পেঁয়াজের বাজারে ‘লাগাম’ পড়েছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
আজ রোবরার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা, মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। অধিকাংশ দোকানেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের বাজারে আজও ক্রেতা কম। বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
কারওয়ানবাজারের বিক্রেতা আব্দুল আওয়াল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দাম বাড়ার ফলে পেঁয়াজের ক্রেতা কমে গেছে। তাই অনেক পেঁয়াজে পচন ধরা শুরু হয়েছে। যারা আগে পাঁচ থেকে ১০ কেজি কিনত তারা এখন আধা কেজি থেকে এক কেজি নিচ্ছে। এতে পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। সেই কারণে কম মূল্যে হলেও আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছি।’
আবু সালেক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরো কমবে।’
এদিকে পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা তাদের পেঁয়াজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তুলতে শুরু করেছে। যদিও সেই পেঁয়াজ পুষ্ট নয়। তবু প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই তা একটু কম দামেই কিনছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দৈনিক গড় হিসেবে গত অক্টোবর মাসের তুলনায় চলতি নভেম্বর মাসে অধিক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, চলতি মাসে শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১১ হাজার ৭৩২ মেট্রিক টন। দৈনিক গড়ে এসেছে ৭৬৮ দশমিক ৮ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন বা গড়ে প্রতিদিন ৬৯৪ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে অক্টোবরের চেয়ে এ মাসে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন আবছার উদ্দিন।